নাসা প্রেমী ভাইয়েরা কাফেরদের কাছে সম্মানিত হতে চায়:
পৃথিবীকে
সমতলে বিছানো বললে নাকি কাফেররা হাসাহাসি করে। সেই
ভয়ে বিজ্ঞান ও নাসা প্রেমী ভাইয়েরা অপবিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে পৃথিবীকে বলাকার বলে কাফেরদের কাছে সম্মানিত হতে চায়।
এই
ভাইয়েরা কাফেরদেরকে এটা কিভাবে বিশ্বাস করাবে যে, ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসী পড়লে একজন ফেরেশতা এসে ওই পাঠকারীকে সারা রাত পাহারা
দেয়। আবার
সূরা মূলক এসে কবরে পাহারা দিবে। এরকম
অসংখ্য বিষয় আছে, যেগুলো বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব। বরং
কাফেররা এগুলো শুনলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়বে। এখন
কি এই ভয়ে আপনি এগুলোর অপব্যাখ্যা করা শুরু করবেন?
আরে
ভাই, কাফেরদের কাছে তো পুরো ইসলামটাই হাসির জিনিস। আপনি
ওদের হাসির ভয়ে ইসলামকে কেন বিকৃত (বিজ্ঞানাইজড) করবেন?
আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘কবরস্থিত ব্যক্তির নিকট পায়ের দিকে দিয়ে ফেরেশতারা শাস্তির জন্য আসতে চাইবে। তখন তার পদদ্বয় বলবে, আমার দিক দিয়ে আসার রাস্তা নেই। কেননা সে সূরা আল ‘মুলক’ পাঠ করত। তখন তার সীনা অথবা পেটের দিক দিয়ে আসতে চাইবে। তখন সীনা অথবা পেট বলবে, আমার দিকে দিয়ে আসার কোনো রাস্তা তোমাদের জন্য নেই। কেননা সে আমার মধ্যে সূরা আল ‘মুলক’ ভালোভাবে ধারণ করে রেখেছিল। অতঃপর তার মাথার দিক দিয়ে আসার চেষ্টা করবে। মাথা বলবে এ দিক দিয়ে আসার রাস্তা নেই। কেননা সে আমার দ্বারা সূরা আল ‘মুলক’ পাঠ করেছিল। সূরা মুলক হচ্ছে বাধাদানকারী। কবরের আজাব থেকে বাধা দেবে। তাওরাতেও সূরা আল ‘মুলক’ ছিল। যে ব্যক্তি উহা রাত্রে পাঠ করে, সে অধিক ও পবিত্র-উৎকৃষ্ট আমল করবে।’ (হাদিছটি বর্ণনা করেছেন হাকেম, তিনি বলেন, এর সনদ সহিহ)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, প্রত্যেক ফরয ছালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোন বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতীত’ (নাসাঈ)। শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযু্ক্ত থাকে। যাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হ’তে না পারে’ (বুখারী)।
[ নাসাঈ কুবরা হা/৯৯২৮, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২; মিশকাত হা/৯৭৪, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-১৮; মুসলিম, বুখারী, মিশকাত হা/২১২২-২৩ ‘কুরআনের ফাযায়েল’ অধ্যায়-৮ ]
Comments
Post a Comment