বিজ্ঞান প্রেমী নেক্সট প্রজন্মের কলমে সূরা নাসের তাফসীর:
যেহেতু
অপবিজ্ঞানপন্থী মডারেটরা, কুরআনকে বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর জন্য কুরআনের অপব্যাখ্যা করতে ছাড়েনি। সেহেতু
তাদের দ্বারা আরো অনেক কিছুই সম্ভব। তারা
পৃথিবীকে বলাকার প্রমানের জন্য "দাহাহার"
অর্থ করেছে “বিস্তৃতির” বদলে ডিম্বাকৃতি। গ্রাভিটি
প্রমানের জন্য "কিফতানের"
অর্থ করেছে, “ধারণকারীর” বদলে আকর্ষণকারী। এভাবে
অনেক অর্থকেই তারা বিকৃত করেছে।
এ
থেকে বুঝা যাচ্ছে, এই প্রজন্মের বিজ্ঞানপন্থী মডারেটরা যেহেতু আয়াত বা শব্ধকে বিকৃত করেছে। সেহেতু
তাদের সন্তানেরা তো পুরো সুরাকেই বিকৃত করে ফেলবে। পরবর্তী
প্রজন্ম তো মনে করবে, সূরা নাস মনে হয় নাসাকে উদ্দেশ্য করেই নাজিল হয়েছে। কারণ
তাদের বাপ্ দাদারা যেভাবে নাসার গুণগান করেছে, এবং নাসার সব থিওরিকে ইসলামাইজড করেছে। তাদের
এমনটা ভাবাই স্বাভাবিক হবে। তারা
(সন্তানেরা) মনে করবে, যেহেতু কুরআনের শেষ সূরা নাস, সেহেতু এটা দ্বারা শেষ জমানার এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা নাসাকেই বুঝানো হয়েছে। কেউ
কেউ হয়তো আরো একধাপ এগিয়ে বলবে, সিনের নিচে জের দিয়েও পড়া যায় আবার জবর দিয়েও পড়া যায়। আর
জবর দিলে তো নাসাঈ হয়। এভাবেও
তারা ইজতেহাদ করবে। নাউযুবিল্লাহ।
এদের
মধ্যে আরেকটি দল আল্লাহর রাসূলের একটি বক্তব্য দিয়েও ইজতেহাদ করবে। তারা
বলবে, আল্লাহর রাসূল বলেছেন: শেষ জমানায় খ্রিস্টানদের একটি দল মুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব করবে। এটা দ্বারা এই নাসার মানুষদের (নাস) কথাই ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ,
নাসাঈ একমাত্র খ্রিস্টান সংস্থা, যারা কিনা কোরানের আলোকে মহাবিশ্ব নিয়ে গবেষণা করে আমাদেরকে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করছে। সুতরাং
নাসার নাসরাই (মানুষেরা) আমাদের সেই শেষ জমানার বন্ধু। দেখেছেন,
আল্লাহ এবং তার রাসূল ১৫০০ বছর আগেই নাসার কথা বলে দিয়েছেন। কুরআন
কত বিজ্ঞান ময়?? আর কিছু লোক বিজ্ঞানের বি ও বোঝেনা, অথচ কথায় কথায় নাসার বিরোধিতা করে।
উপরে
আপনারা আগামী প্রজন্মের নাসা ও বিজ্ঞানপ্রেমী
কিছু মুজতাহিদ(?) বিজ্ঞানীর সম্ভাব্য ইজতেহাদ দেখলেন। তবে
আমরা আশা করি, এমনটা হবেনা ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ
তায়ালা তার আগেই তাদেরকে সহীহ বুঝ দান করবেন।
Comments
Post a Comment