চরম ফেতনার সময় মুমিনদের করণীয় সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট ঘোষণা হলো-
রাসুলুল্লাহ সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অচিরেই বিভিন্ন রকম ফেতনার আবির্ভাব ঘটবে। ফেতনার সময় বসে থাকা ব্যক্তি ফেতনার দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসর হওয়া ব্যক্তির চেয়ে নিরাপদ ও উত্তম। আবার পায়ে হেঁটে চলমান ব্যক্তি আরোহী ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক নিরাপদ ও উত্তম হবে।
ফেতনা শুরু হয়ে গেলে যার উট থাকবে; সে যেন উটের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর যার ছাগল থাকবে, সে যেন ছাগলের পালের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর যার চাষাবাদের জমিন আছে, সে যেন চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত থাকে।
এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যার কোনো কিছুই (উট, ছাগল, চাষাবাদের জমি) নেই; সে কী করবে?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘পাথর দিয়ে তার তলোয়ারকে ভোঁতা করে নিরস্ত্র হয়ে যাবে এবং ফেতনা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করবে। অতপর তিনি আরও বললেন-
‘হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি?
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজে ফেতনা থেকে মুক্ত থাকা। অন্য মুমিনকেও ফেতনা থেকে মুক্ত রাখা। ইসলামের বিধান সম্পর্কে অযথা মনগড়া তথ্য প্রচার না করা। অন্যকে ফেতনার কাজে সহযোগিতা না করা। আর এটাই হলো ঈমানের জন্য নিরাপদ কাজ।
আল্লাহ তাআলা মুমিন মুসলমানকে দুনিয়ার সব ফেতনা থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। অন্যকে ফেতনা থেকে হেফাজতে সহযোগিতা করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment