কর্মক্ষেত্রে নারীদের রাগ প্রদর্শন অনেক ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে: ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি।
কর্মক্ষেত্রে নারীদের রাগ
প্রদর্শন নেতিবাচিক হলেও তা তাদের ক্যারিয়ারকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে বলে
ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পিয়ার্স মরগানের শো 'গুড মর্নিং ব্রিটেনে' একটি টিভি
সাক্ষাত্কারের সময় এ কথার যথার্থতা তুলে ধরেন সাংবাদিক রেবেকা রেড। তিনি বলেন যে
কর্মক্ষেত্রে নারীদের রুক্ষ হওয়ার ব্যাপারে তার নতুন বই 'রুড: স্টপ বিং নাইস এবং
স্টার্ট বিং বোল্ড' লেখার জন্য অনুপ্রাণিত করেছে।
রেইড বলেন যে বইটি কর্মক্ষেত্রে নারীদের
"ইতিবাচক রুক্ষ আচরণ" সহ বিভিন্ন উপায় রয়েছে যা তাদের ক্যারিয়ারকে
এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তিনি আরো বলেন, 'ইতিবাচক রুক্ষ আচরণ' নারীদের
দৃঢ়প্রত্যয়ী" হিসাবে পরিচিত করে তুলবে কিন্তু সাধারণত নারীরা যখন এটি
প্রদর্শন করেন তখন এটি অভদ্র হিসাবে সকলের কাছে প্রকাশ পায়। বইটিতে নারীদের কে
তাদের কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছু বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন
লেখক।
তার মধ্যে একটি হলো ইমেইলের
ক্ষেত্রে রুক্ষ হওয়া:
রেইড তার বইয়ে নারীদেরও
কর্মক্ষেত্রে তাদের ইমেইল ব্যবহারে আনুগত্য প্রকাশ না করে সরাসরি মূল কথা বলার
জন্য বলেছেন। অনেকে ক্ষেত্রে নারীরা ইমেইল করার সময় শুরুতেই দুঃখিত, মনে হচ্ছে এ
সব বাক্য ব্যবহার করেন তিনি এগুলো বাক্য এড়িয়ে চলার কথা বলেছেন। এককথায় নারীদের
অনুগত্য প্রকাশ না করে মূল বিষয়ে কথা বলার জন্য বলেছেন।
ইত্তেফাক/এএইচপি
এবার আসুন দেখি ইসলাম এ ব্যাপারে কি
বলে?
নারীদের মোহনীয় বাকভঙ্গি
নারীর রূপ,
ভঙ্গি ও কথার মোহময়তা সর্বজনবিদিত। রূপের মতো কথার মায়াজালেও সে আটকাতে পারে
পুরুষকে। দুর্বল চরিত্রের পুরুষ সহজেই মোহগ্রস্ত হয় তার কথায়। পবিত্র কোরআনে নারীর
কথার জাদুময়তার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে তোমরা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল কণ্ঠে
এমনভাবে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)
কোরআনের
ব্যাখ্যাকারগণ এই আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, কথার এই কোমলতা ও মোহনীয় ভঙ্গি নারীর
বিশেষ গুণ। যা তার স্বামী ও আপনজনের জন্য যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি দুর্বল ঈমানের
পুরুষ—যার প্রলুব্ধ
হওয়ার ভয় আছে তার সামনে তা প্রকাশ করা নিন্দনীয়। (তাফসিরে ইবনে কাসির ও তাফসিরে
তাবারি)
শিক্ষা:
আজ বিশেষজ্ঞরা যা পরামর্শ দিচ্ছে , সেই
একই পরামর্শ (বরং সঠিক নির্দেশ) আল্লাহ তায়ালা আরো অনেক আগেই দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু
আধুনিক নারীবাদীরা আল্লাহর কথা মেনে নিতে পারেনা। অথচ গবেষকদের কথা দেখবেন ঠিকই মেনে
নিবে। এবং, এটাই সভ্যতা, আধুনিকতা ও কর্পোরেট ট্রেন্ডে পরিণত হবে।
আসলে
মানুষের এখন এটা একটা ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ইসলামের নির্দেশ মেনে নিতে পারে না। কিন্তু
ওই একই নির্দেশনা কোন বৈজ্ঞানিক সংস্থা থেকে আসলে বিনা তর্কে মেনে নেয়। অর্থাৎ ইসলামের
লেবেল থাকলে মানবে না। বৈজ্ঞানিক বা গবেষণার লেবেল থাকতে হবে।
হে বোন, পশ্চিমা সভ্যতার কথিত নারী আন্দোলন নয়। বরং
একমাত্র ইসলামই দিবে আপনাকে পূর্ণ সম্মান ও মর্যাদা। সুতরাং
ফিরে আসুন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে।
Comments
Post a Comment