হামাস কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে??





 
ধরুন, হামাস সমস্ত ইহুদিদের তাড়িয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠন করলো। এতে বিজয় কার হলো?
ইসলামের, নাকি কুফুরী গণতন্ত্রের?
হামাস একটা গণতান্ত্রিক দল। তারা ইসলামের জন্য লড়াই করেনা। ক্ষমতার জন্য লড়ে। তারা বিজয়ী হলে ইসলামের কোনোই উপকার হবেনা। মুসলিমরা হয়তো নাম মাত্র একটা গণতান্ত্রিক ভূখণ্ড পাবে। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্র পাবেনা। ঘুরে ফিরে সেই কুফুরী (গণতন্ত্র) চক্রের ভিতরেই আটকিয়ে থাকতে হবে।
আবার খেয়াল করুন, তাদের কারো (জনগণ ও সংগঠন) হাতেই ইসলামের (কালেমা) পতাকা নেই। সবার হাতেই জাতীয়তাবাদের পতাকা। এই পতাকার সাথে তো আল্লাহর কোনো ওয়াদা নেই। এই পতাকার জন্য তো আল্লাহর কোনো সাহায্য নেমে আসবে না। এই পতাকার জন্য জুন্দুল্লাহ ফেরেস্তারাও আসবে না। এই পতাকার বিজয় হলে, সেটা অভিশপ্ত জাতীয়তাবাদ ও কুফুরী গণতন্ত্রের বিজয় হবে। ইসলামের নয়।
আমি মোটেও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বলছিনা। সেখানের মুসলিমরা আমাদের ভাই। তারা শত বছর ধরে নির্যাতিত ও নিপীড়িত। অবশ্যই আমরা তাদের দুঃখে দুঃখিত।
আমি বলছি তাদের আন্দোলনের ভুল নীতি ও পদ্ধতির ব্যাপারে। তাছাড়াও আমরা বেশির ভাগ মুসলিমই আজ ওয়েস্টার্ন কালচারে আসক্ত এবং অভ্যস্ত। পরিপূর্ণ রূপে ইসলামের অনুসারী নোই। গান, বাজনা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, বেপর্দা ইত্যাদি অপসংস্কৃতিতে পূর্ণ মাত্রায় নিজেদেরকে ডুবিয়ে রেখেছি। ফলে আল্লাহর রহমত ও সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আর এই অবস্থা থেকে ফিলিস্তিনের মুসলিমরাও মুক্ত নয়।
আর এরকম অবস্থায় তো আল্লাহর সাহায্য নয় বরং আজাব নেমে আসে। আমাদের এসব কর্মকান্ডই আসমানী আযাবকে টেনে নিয়ে আসে। আজাব মানেই যে ঝড়, তুফান, ভূমিকম্প ইত্যাদি, তা নয়। আজাব শত্রুর রূপেও আসতে পারে। জালেম শাসকের রূপেও আসতে পারে। মুসলমানরা নিজেদের আত্মসংশোধন না করলে, এ আজাব কখনোই দূর হবে না।
যে জাতি নিজেকে পরিবর্তন করেনা, আল্লাহ সে জাতিকে পরিবর্তন করে দেয় না।
আল্লাহ বলেন:
 

لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِّن بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللّهِ إِنَّ اللّهَ لاَ يُغَيِّرُ مَا بِقَوْمٍ حَتَّى يُغَيِّرُواْ مَا بِأَنْفُسِهِمْ وَإِذَا أَرَادَ اللّهُ بِقَوْمٍ سُوءًا فَلاَ مَرَدَّ لَهُ وَمَا لَهُم مِّن دُونِهِ مِن وَالٍ
তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আল্লাহ যখন কোন জাতির উপর বিপদ চান, তখন তা রদ হওয়ার নয় এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন সাহায্যকারী নেই। [সুরা রা’দ - ১৩:১১]
 
সুতরাং আল্লাহর সাহায্য পেতে হলে পরিপূর্ণ রূপে ইসলামে ফিরে আসতে হবে। সকল তন্ত্র মন্ত্র এবং অপসংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে।
আসুন ফিলিস্তিন থেকে শিক্ষা নেই। সতর্ক হই। নয়তো আমাদেরও একই অবস্থা হবে। কারণ বাছুর পূজারীদের সমর্থকরা তো আমাদের চারদিকে আছেই।
ওহ, আরেকটি কথা। গণতন্ত্রপ্রেমী মডারেটদের জন্য হামাস ও হিজবুল্লাহ (শিয়া সংগঠন) খুব ভালো দুটি সংগঠন। কিন্তু ইসলামপ্রেমী মুমিনদের জন্য নয়।
আল্লাহ আমাদেরকে হক ও বাতিলকে চিনার তৌফিক দান করুন।
 









 

Comments

Popular posts from this blog

হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে নিউক্লিয়ার বোম ড্রামাঃ

সমতলে বিছানো স্থির পৃথিবী। (১ম -৪র্থ খন্ড)। পিডিএফ লিংক। একসাথে।

আর্মি অফ দাজ্জাল (১ম ও ২য়) খন্ডের PDF লিংক একসাথে: