Posts

Showing posts from December, 2020

জীন, শয়তান, সিক্রেট সোসাইটি, কাব্বালাহ ও কালোজাদু নিয়ে গবেষণা করার সময় কিছু করণীয়:

Image
  আপনি যদি এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে যান , জীন শয়তান ও যাদুকরেরা আপনার পিছনে অবশ্যই লাগবে । এক্ষেত্রে আপনার যদি পর্যাপ্ত প্রটেকশন ( দোআ , দরূদ ও বিভিন্ন আমল ) না থাকে , তাহলে এরা আপনাকে আক্রমণ করে অসুস্থ তো বানাবেই । আপনাকে পথভ্রষ্টও করে ছাড়বে । সুতরাং এসব গবেষণা করার আগে , একজন হক্কানী আলেমের তত্ত্বাবধানে থেকে ভালো করে শরীয়ত সম্পর্কে গভীর এলম অর্জন করুন । তারপর তাসাওউফের এলম নিন । এরপর এই পথে আসুন । অন্যথায় এসব গবেষণা করে নিজেও পথভ্রষ্ট হবেন আবার ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করে অন্যকেও গোমরাহ করবেন । আর কোনো কারণে আপনি যদি জিনের দ্বারা আক্রান্ত হয়েই যান । তাহলে একজন ভালো হক্কানী রাকির ( যারা রুকিয়া / কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করে ) কাছে চিকিৎসা নিন । এবং একজন রোগী হিসেবে , ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে দূরে থাকুন । রোগীকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিতে হয় । এবং চিকিৎসা চলাকালীন উল্টাপাল্টা গবেষণা ও তা প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে হয় । সুস্থ হওয়ার পর আবার আসলে , উম্মতের ফা

সমাজের উপর অতীতে গ্রিক দর্শনের আর বর্তমানে বিজ্ঞানের প্রভাব:

Image
  ৮ম বা ৯ম শতাব্দীর পর থেকে মুসলিম সমাজে গ্রিক দর্শনের মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করছিলো। । চারদিকে গ্রিক দর্শনের জয়জয়গান চলছিল। । এর বিরুদ্ধে কথা বলার মতো খুব একটা মানুষ ছিলোনা । বেশিরভাগ মানুষ গ্রিক দর্শনের ফেতনায় গা ভাসিয়ে দিচ্ছিলো । একদম হুবহু বর্তমানে আমাদের সমাজে বিজ্ঞানের যেমন প্রভাব বিরাজ করছে , ঠিক তেমন । এখন যেমন বিজ্ঞানের বিরুদ্ধাচার করার সাহস কারো নেই (অল্প কয়েকজন ছাড়া) , তখন গ্রিক দর্শনের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো কেউ ছিলোনা   (অল্প কয়েকজন ছাড়া) । বর্তমানের আলেম , স্কলার ও সাধারণ মুসলিমরা যেমন সবকিছুকে বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে প্রচার করতে চায় , সেই সময়টাও ছিল তেমন । অর্থাৎ সবাই গ্রিক দর্শনের সাথে তাল মিলিয়ে বা সামঞ্জস্য বজায় রেখে ইসলাম প্রচার করতেই সাচ্ছন্দ বোধ করতো । বর্তমানে যেমন আলেমরা সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থা বা সাধারণ জনগণের ভয়ে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেন না , তখনের অবস্থাও ছিল ঠিক এমনি । তবে হা , এখন যেমন হক্কানী আলেমদের কেউ কেউ এসব জানার

পুরো পৃথিবীর ছবি তোলা কি সম্ভব?

Image
  অনেকেই মহাকাশ (?) থেকে তোলা সমতলে বিছানো পৃথিবীর সম্পূর্ণ ছবি দেখতে চায়। আরে ভাই,, নাসা আপনাকে যে বলাকার পৃথিবীর ছবি দেখায় সেটা যে সম্পূর্ণ ভুয়া তা কি এখনো বুঝেন নাহ? ৪/৫ কি:মি: উপর থেকে মেঘের কারনে পুরো পৃথিবীর কোন ছবিই তো তোলা সম্ভব নয়। এখন সেটা নাসার কথিত বলাকার পৃথিবী হোক আর সত্যিকারের সমতলে বিছানো পৃথিবীই হোক। আর কেউ যদি কোথাও মেঘমুক্ত আকাশ পেয়েও যায়, তবুও পুরো পৃথিবীর ছবি তোলা অসম্ভব। সর্বোচ্চ হয়তো একটা দেশের ছবি তুলতে পারবে। কারণ, পুরো পৃথিবীর ছবি তুলতে হলে, তাকে কোটি কোটি মাইল উপরে গিয়ে তুলতে হবে। আর সেটা কখনোই সম্ভব নয়।

ফ্লাট আর্থ নিয়ে কাফেরদের ট্রল:

Image
  আপনি যখন সমতলে বিছানো পৃথিবী নিয়ে গবেষণা করার জন্য গুগলে ফ্লাট আর্থ লিখে সার্চ দিবেন, তখন এরকম অসংখ্য ফানি পিকচার পাবেন। এগুলো মূলত ফ্লাট আর্থার ও গ্লোব অর্থারদের (অমুসলিম) কামড়াকামড়ির অংশ।  এগুলোর সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এবং আমাদের ইসলামী (কুরআনিক) সৃষ্টিতত্ত্বের সাথেও কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলামী সৃস্টিতত্ব সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস।  ওগুলো অমুসলিমদের কাদা ছুড়াছুড়ি ছাড়া আর কিছুই নয়।  তবে হা, কিছু জিনিস ওদের সাথে মিলে যায়। কিন্তু কাফেরদের ওসব খোঁচা খুঁচি দেখে আপনারা আমাদেরকে ব্লেইম দিতে পারেন না। আপনারা রিসার্চ করছেন ভালো কথা, কিন্তু ভালো করে বুঝতে তো হবে, কোনটা মুমিনদের কাজ আর কোনটা কাফেরদের কাজ? আল্লাহ আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করুন। 

হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে নিউক্লিয়ার বোম ড্রামাঃ

Image
  বহুল প্রচলিত একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হল হিরোশিমা ও নাগাসাকি ট্রাজেডি। কম বেশি সবাই আমরা জানি যে, সেখানে পারমাণবিক বোম ফেলা হয়েছিলো । এবং এতে জাপানের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছিলো। আসুন ঘটনাটির সত্যতা কতটুকু, তা নিয়ে কিছুটা পর্যালোচনা করি। প্রথমে বিভিন্ন আর্টিকেলের বাংলা অনুবাদ গুলো পড়ুন। বিঃ দ্রঃ অনুবাদগুলো গুগল ট্রান্সলেট দিয়ে করা হয়েছে। তাই কিছুটা এলোমেলো হয়েছে। তবে বুঝার জন্য সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ। এরপর আবার, আমার পক্ষ থেকে সহজ করে আলোচনা করা হয়েছে।   অনুবাদ-১ ১৯৪৫ সালের নভেম্বরে ম্যানহাটন প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক পরিচালক জে রবার্ট ওপেনহেইমার বলেছিলেন , " একটি মূলত পরাজিত শত্রু " - তে বোমাটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল । রাষ্ট্রপতি ট্রুমান এবং তার নিকটতম উপদেষ্টা , সেক্রেটারি অফ স্টেট সেক্রেটারি জেমস বাইর্নস বেশ স্পষ্টতই এটি প্রধানত জাপানের দখলে সোভিয়েতদের অংশীদার হতে রোধ করার জন্য ব্যবহার করেছিলেন । এবং তারা আগস্টে   পটসডাম সম্মেলন থেকে বাড়ি ফিরতে তারা নিজেদের মধ্যে সম্মতি জানালেও জাপানিরা শান্তির সন্ধানের জন্য এটি ব