Posts

Showing posts from January, 2021

সাইন্স লাভার মডারেটদের লুকিয়ে থাকা মানসিকতা:

Image
বিজ্ঞানপ্রেমী মডারেটরা মনে করে ইসলামকে বিজ্ঞান দ্বারা ব্যাখ্যা না করলে, মানুষ ইসলামকে গ্রহণ করবেনা। তাই তারা ইসলামকে বিজ্ঞানাইজড করে প্রচার করে বা দাওয়াত দেয়।  এক্ষেত্রে তারা নিজের অজান্তেই ইসলামের চেয়ে বিজ্ঞানকেই বেশি হাইলাইট করে ফেলে।  আবার এসব দাওয়াতের একটা সাবলিমিনাল ম্যাসেজ হচ্ছে, ইসলাম পূর্ণাঙ্গ নয়। বা ইসলাম দুর্বল। (নাউযুবিল্লাহ)। ইসলামকে ইসলাম দিয়ে ব্যাখ্যা করলে হবে না। বরং, ইসলামকে বিজ্ঞানাইজড করে পরিপূর্ণ বা শক্তিশালী করে দাওয়াত দিতে হবে। তাহলে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবেশ করবে।     আফসোস এদের জন্য। কত নিচু মানসিকতা এদের। আর এদের অত্যাচারে আলেমরাও এখন কোনঠাসা হয়ে গেছেন। ওলামা হজরৎগণ এই মডারেটদের কারণে বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে কিছু বলতেও পারেন না। আগে যা বলছেন, এখন একেবারেই বলেন না। কারণ, আলেমরা যখন মানুষকে এইসব অপবিজ্ঞানের বিরুদ্ধে সতর্ক করতেন, তখন এরা (বিজ্ঞান প্রেমী) তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করতো। এখনো যারাই সাইন্সের(?) বিরুদ্ধে বলে, তাদেরকেই তারা অপমান করে।

আমরা প্রচলিত ফ্লাট আর্থ মতবাদের অনুসারী নই:

Image
  বিষয়টা ভালো করে বুঝে নিন। প্রচলিত ফ্লাট আর্থ থিওরি এক জিনিস , আর কোরআন হাদিসে বর্ণিত সমতলে বিছানো বিশাল বিস্তীর্ণ পৃথিবীর আলোচনা আরেক জিনিস। একটা হচ্ছে কিছু বাস্তববাদী মানুষের (বিভিন্ন ধর্মের) গবেষণা বা পর্যবেক্ষণের ফলাফল। তবে এখানে খ্রিস্টানদের সংখ্যাটাই বেশি। তারা বাইবেল থেকে থিওরি গুলো নেয় এবং নিজেদের মতো গবেষণা করে। আরেকটা হচ্ছে কোরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক সত্যিকারের সৃষ্টি তত্ত্ব। আর আমরা এই কোরআনিক সৃষ্টি তত্বটাকেই তুলে ধরছি। গতানুগতি বা প্রচলিত ফ্লাট আর্থ সোসাইটির সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে হাহ, যেহেতু এটাই বাস্তবতা (পৃথিবী বলাকার নয় বরং সমতলে বিছানো), সেহেতু ওদের সাথে আমাদের কিছু বিষয় মিলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আর তাছাড়া, ওরা অনেক কিছুই বাইবেল থেকে গ্রহণ করে। সেক্ষেত্রেও আমাদের আলোচনা ওদের সাথে মিল থাকতেই পারে। এখানে আরো একটা কথা বলে রাখতে চাই। যখন ঈসা (আ:) আসবেন তখন সম্ভবত, বাইবেলে বিশ্বাসী এই ফ্লাট আর্থাররাই মুসলমান হয়ে যাবে। আল্লাহু আলম। N:B: অনেক ভাই আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা এটা বলছেন অথচ ফ্লাট আর্থ মতবাদ অনুযায়ী তো বিষয়টা অমন, ফ্লাট আর্থাররা তো এটা বিশ্বা

চরম ফেতনার সময় মুমিনদের করণীয় সম্পর্কে হাদিসের সুস্পষ্ট ঘোষণা হলো-

Image
রাসুলুল্লাহ সাললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অচিরেই বিভিন্ন রকম ফেতনার আবির্ভাব ঘটবে। ফেতনার সময় বসে থাকা ব্যক্তি ফেতনার দিকে পায়ে হেঁটে অগ্রসর হওয়া ব্যক্তির চেয়ে নিরাপদ ও উত্তম। আবার পায়ে হেঁটে চলমান ব্যক্তি আরোহী ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক নিরাপদ ও উত্তম হবে। ফেতনা শুরু হয়ে গেলে যার উট থাকবে; সে যেন উটের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর যার ছাগল থাকবে, সে যেন ছাগলের পালের রাখালি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর যার চাষাবাদের জমিন আছে, সে যেন চাষাবাদের কাজে ব্যস্ত থাকে। এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যার কোনো কিছুই (উট, ছাগল, চাষাবাদের জমি) নেই; সে কী করবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- ‘পাথর দিয়ে তার তলোয়ারকে ভোঁতা করে নিরস্ত্র হয়ে যাবে এবং ফেতনা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করবে। অতপর তিনি আরও বললেন- ‘হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছি? অতপর অন্য এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন- হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কেউ যদি আমাকে জোর করে ক

ISS (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন) সমাচার:

Image
এটা নিয়ে তর্ক বিতর্কের শেষ নেই। কেউ এটার গুণগানে আত্মহারা হয়ে যায়। আবার কেউ অস্তিত্ব নেই বলে উড়িয়ে দেয়। তবে কোনো পক্ষই এটাকে নিজ চোখে দেখেছে বলে মনে হয়না। বিভিন্ন ভিডিও এবং পিকচারই তাদের ভরসা।  এক্ষেত্রে আমাদেরকে সর্বপ্রথমে, আল্লাহর একটি কথাকে মাথায় রাখতে হবে। আল্লাহ, ফাসেকদের (নাসা) আনীত খবরকে যাচাই ছাড়া গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং, বিশুদ্ধ কোনো সংবাদ না পাওয়া পর্যন্ত, ওদের দেয়া তথ্য মেনে না নেয়াই মুমিনের শান।  দ্বিতীয়ত, এটা যদি থেকেও থাকে। তাতেও কোনো সমস্যা নেই। এটা দিয়ে বলাকার পৃথিবী প্রমান করা যায়না। এটা এটার জায়গায় থাকবে, আর সমতলে বিছানো পৃথিবী, তার নিজস্ব অবস্থানে থাকবে। এবার ISS  এর ওয়েবসাইটে দেয়া ছবিটা দেখুন।  গম্বুজ বিশিষ্ট আকাশকেই হাইলাইট করা হয়েছে। অর্থাৎ কক্ষপথে ঘূর্ণয়ন করছেনা। বরং সমতলে বিছানো পৃথিবীতে পশ্চিম থেকে উৎক্ষেপিত হয়ে পূর্বে নেমে যাচ্ছে।  আবার চক্রাকারেও ঘুরতে পারে। ব্যাস, এতটুকুই। এটা এমন বিশাল কিছু নয়। আবার সব কিছু স্টুডিওর কারসাজির হতে পারে। আবারো বলছি, যদি ISS থেকেও থাকে, সেটা গম্বুজ বিশিষ্ট আসমানের ভেতরেই আছে। এবং সমতলে বিছানো পৃথিবীতেই আবর্তন করছে। এর ব

সমতলে বিছানো স্থির পৃথিবীর কথা বাইবেলে আছে

Image
  সমতলে বিছানো স্থির পৃথিবীর কথা যেহেতু বাইবেলে আছে, সেহেতু এটা খ্রিস্টানদের বিশ্বাস। সুতরাং, মুসলিমদের এমনটা (পৃথিবী সমতল) ভাবা ঠিক নয়। এখন কথা হলো: বাইবেলে তো আমাদের নবী রাসূল, হাসর, পুলসিরাত, জান্নাত, জাহান্নাম ইত্যাদির কথাও আছে। এবং খ্রিস্টানরাও এগুলো বিশ্বাস করে এবং আলোচনা করে। তাহলে কি এগুলো নিয়েও আমাদের ভাবাটা অনুচিত? বা একই মত পোষণ করলেই সেটা খ্রিস্টানদের মত হয়ে যাবে?

হাশরের ময়দানে কি পৃথিবীর আকৃতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন হবে?

Image
  আমরা যখনই সমতলে বিছানো পৃথিবী নিয়ে কোনো পোস্ট দেই । তখনই কিছু ভাই একটা কমন প্রশ্ন করেন । " এসব ব্যাপারে কি হাশরের ময়দানে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা হবে "? এই ভাই গুলো অন্য জায়গায় বা গ্ৰুপে গিয়ে হাবিজাবি পোস্টের বিরুদ্ধে কখনো এমন প্রশ্ন করে বলে মনে হয়না । তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই আমাদেরকে অনুৎসাহিত করার জন্য এসব প্রশ্ন করে । তাদের কথা অনুযায়ী , যদি হাশরের প্রশ্নের দিকে তাকিয়ে কেউ তাদের আলোচনাকে সীমাবদ্ধই করতে চায় , তাহলে আপাত দৃষ্টিতে টপিক্স অনেক সংকীর্ণ হয়ে যায় । শেষ বিচারের মাঠে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতিটি বান্দাকে ৫টি প্রশ্ন করবেন । হাদিসে বর্ণিত হয়েছে , রাসুল সা . ইরশাদ করেন , সেই দিন ৫টি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোনো আদম সন্তান তার পা এক কদমও নাড়াতে পারবে না ; চাই সে নবী হোক কিংবা অলী হোক । সেই ৫ প্রশ্ন হলো নিম্নরূপ । ( ১ ) সর্ব প্রথম তাকে প্রশ্ন করা হবে , ‘ তুমি তোমার সারা জীবন কোন পথে কাটিয়েছো ?’  ( ২ ) এরপর প্রশ্ন করা হবে , ‘ যৌবনকালে কোন আ

দলিল প্রমান ছাড়াও পৃথিবীকে স্থির ও সমতলে বিছানো দাবি করা যায়:

Image
  ধরুন , কারো কাছে কোনো দলিল প্রমান নেই । কোনো বৈজ্ঞানিক সরঞ্জামাদিও নেই । এবার আমি দাবি করলাম পৃথিবী সমতলে বিছানো এবং স্থির । কারণ আমি পাহাড়ের উপরে উঠেও পৃথিবীকে সমতল দেখতে পাচ্ছি । এবং দুনিয়াকে স্থির হিসেবে পাচ্ছি । এটা আমি বাস্তবেই দেখতে পাচ্ছি । আমি এই বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে জোর গলায় এটা দাবি করতে পারি । কিন্তু আপনি কিসের ভিত্তিতে পৃথিবীকে বলাকার ও ঘূর্ণায়মান দাবি করবেন ? না আপনি কখনো বাস্তবে পৃথিবীকে বলাকার হিসেবে দেখেছেন ? না আপনি কোনোদিন পৃথিবীর ঘূর্ণয়নকে অনুভব করেছেন । আপনার ভিত্তি হচ্ছে কল্পনা । আপনি বলছেন দুনিয়া বলাকার এবং তীব্রগতিতে ঘুরছে , কিন্তু আমরা তা বুঝিনা । সুতরাং বলাকার পৃথিবী তত্ত্ব অনুযায়ী , বিষয়টা এমন । আমরা যদিও নাগরদোলাকে ঘুরতে দেখছি । আসলে নাগরদোলা ঘুরছেনা , আমরাই ঘুরছি । আমাদের মাথাই ঘুরছে । আজ অপবিজ্ঞানের কারণে আমাদের মাথা এতটাই নষ্ট হয়েছে যে ,   বাস্তবতাকেও উপলব্ধি করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছি ।